মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী-পুরুষের সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। এ ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনেক উন্নত-সমৃদ্ধ পরশক্তির দেশও বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু শিশুদের নিয়ে ভাবতেন উল্লেখ করে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘আজকের দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব কন্যাশিশুদের অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু শিশুদের নিয়ে ভাবতেন। তিনি শিশুদের কথা বলতেন। তাই শিশুদের সুরক্ষার জন্য ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রনয়ণ করেন। তিনি সব শিশুকেই শিশু হিসেবে দেখছেন। আমরা কন্যাশিশু-ছেলেশিশু বলে তাদের বিভাজন করে দিচ্ছি।’
শিশুদের উন্নয়নে সরকার বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহয়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সরকার শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১ কোটি ৪০ লাখ মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালেও যা চালু ছিল। মেয়েদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিয়ে ও যৌতুকের হার অনেকটা কমেছে। আমরা প্রতিনিয়তই তথ্য সংগ্রহ করছি।’
২০৩০ সালে দেশের কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণে সমতায় নিয়ে আসা হবে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশুর উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সমাধিকার-সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা, নারীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে অগ্রগতিশীল কৌশল বাস্তবায়ন করছে, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ঘোষণা দিয়েছেন ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০-৫০-এ নিয়ে আসবেন এবং তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’
আলোচনা সভায় আরও ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলিসহ অন্যান্যরা।
ইউআর/