রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত বক্তব্য ও ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি জানিয়েছেন, দেশের ১৭টি রাজনৈতিক দল ইভিএমে ভোট চায়।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
আলমগীর বলেন, ‘দলগুলোর সঙ্গে যে সভা করেছি, তা আপনারা সরাসরি দেখেছেন। আমাদের কর্মকর্তারা এগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন, ভিডিও ক্লিপ আছে। তারা সেগুলো দেখে আমাদের লিখিতভাবে দিয়েছেন। তিনবার মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা দলগুলোর লিখিত বক্তব্য এবং ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ইসির এ কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই পেপার ট্রেইল রাখার কথা বলেছেন। আমরা পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন এ মুহূর্তে এটি সংযোজন করা সম্ভব নয়। তাই এটিকে আমরা ইভিএমের বিপক্ষে সংশ্লিষ্ট দলের মতামত হিসেবে ধরে নিয়েছি।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএমেও ফটো দেখা যায়। কাজেই কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললেও একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার সুযোগ নেই। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে সেই ফটো মিলিয়ে দেখা হয়। সব দিক থেকেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি ইভিএমে কারচুপি করা যায় না।’
‘আর অনেকেই বলেছেন যদি কারচুপি করা না যায়, তবেই ইভিএম চায় তারা। কাজেই সেই হিসেবে আমরা দেখেছি, মোট ১৭টি দল ইভিএম চায়।’
এ সময় কমিশনার আরও বলেন, যেখানে ইভিএমে নির্বাচন হয়েছে, সেখানেই কোনো মারামারি, রক্তপাত, কারচুপি হয়নি এবং একটি নির্বাচন নিয়েও কোনো অভিযোগ আসেনি, চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমাদের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, কাল আমরা বসব। যদি দেখা যায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে, তবে ইভিএমের নতুন প্রকল্প অনুমোদন হবে।
ইউআর/