তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে। এটিকে অপ্রত্যাশিত বৈঠক বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো। কারণ ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের মন্তব্যের দুই বছর পর এবার দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে এ বৈঠক হয়।
শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে অনুষ্ঠিত সাংহাই সামিটে এক সাইড লাইন বৈঠকে অংশ নেন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এ দুই নেতা। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানায়, এরদোগান পাকিস্তান সফরে গিয়ে কাশ্মীর পরিস্থিতিকে খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করায় ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায় ভারত। ২০১৯ সালে মোদি সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা তুলে নিয়ে এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন হিসেবে ঘোষণা করে। এ সময় সৃষ্ট পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন তুরস্কের নেতা।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীরের পুরো অঞ্চলের দাবি করলেও এর দুটি অংশকে শাসন করে আসছে উভয় দেশ।
রয়টার্স জানায়, এরদোগানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির করমর্দনের এক ছবি পোস্ট করে এক টুইটবার্তায় মোদির দপ্তর থেকে বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগিতার উপায় নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন।
উজবেকিস্তানের সমরকন্দে অনুষ্ঠিত সাংহাই সামিটের এক পার্শ্ব বৈঠকে দুই নেতা মিলিত হন বলে দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বৈঠকটি মোদির নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে ছিল না।
পরে এক টুইটে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে অর্জনকে স্বাগত জানান দুই দেশের নেতা। সেখানে তারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে পরস্পর মতবিনিময় করেন।
ইউআর/