যশোরে ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলম হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাত জনকে অভিযুক্ত করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সালাউদ্দিন খান তদন্ত শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
সেই সঙ্গে চার্জশিটে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার পিয়ারুজ্জামান পিরুসহ আরও চারজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার কাঠমিস্ত্রি শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান হোসেন, ফারুক হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান ওরফে আইজুল, মৃত লোকমান শেখের ছেলে বাবলু শেখ, কাজীপাড়া গোলামপট্টির শেখ রবিউল ইসলাম রবির ছেলে ইমরুল কায়েস রুমন, মৃত বাশার মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু ও পুরাতন কসবা ব্রিজের দক্ষিণ পাশে চঞ্চলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত শেখ সুলতানের ছেলে শাওন আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলমের ভাই কোরবান আলী পচাকে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আসামিরা নিহতের পরিবারকে ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
কিন্তু নিহতের পরিবার মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
এ ঘটনার জের ধরে চলতি বছরের ২৪ মার্চ বিকেলে শহরের পুরাতন কসবা গোলামপট্টিতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন পচার ভাই ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলম। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মার্চ ভোরে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই মুরাদ ৭ জনের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্তকালে আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণিত না পাওয়ায় জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার পিয়ারুজ্জামান পিরু, আমিরুল ইসলাম, সোহাগ ও রনি ওরফে কাজী হায়াতুজ্জামান রাজিবের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান ও ইকরামুল বিশ্বাসকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
ইউআর/