স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার শিকার পাকিস্তানের জন্য সহায়তা চেয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। শনিবার বন্যাকবলিত দেশটির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
পাকিস্তান সরকার বলছে, এবারের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় দেশটির আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এবার বন্যার এমন ভয়ঙ্কর রূপ প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে বলে মনে পাকিস্তান ও জাতিসংঘ।
করাচিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আজ এটি (বন্যার প্রকোপ) পাকিস্তানে, আগামীকাল আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এটি আপনার দেশেও হতে পারে। এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। এর জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।’
পাকিস্তানের বিশাল এলাকা এখনও পানির নিচে। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সরকার বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ।
এদিকে ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের একাংশকে দেখে ‘সমুদ্রের মতো’ মনে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আপনারা না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। দেখে মনে হচ্ছে পুরোটা একটা সমুদ্র।’
শাহবাজ শরিফ বলেন, উপচেপড়া পানি নতুন একটি হুমকি তৈরি করেছে। পানিবাহিত সংক্রামক রোগের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো একটি চ্যালেঞ্জ। এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে আমাদের হাজারো কোটি রুপি প্রয়োজন হবে।
ইউআর/