পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন শেয়ার লেনদেন শুরুর দিনই ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে দেখা যায়। পরদিনও বিদ্যমান নীতিতে আরও ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সুযোগ আছে এবং বাজারে মোটামুটি তাই হয়। এতে দেখা যায় ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর শেয়ার দু’দিনের মাথায় দাম দাঁড়ায় ২২ টাকার ওপরে।
পরবর্তী কার্যদিবসে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার (দাম বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা) কার্যকর হয়।
এভাবে অনেক দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে পৌঁছায় বলে অভিযোগ আছে বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, এসব শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেকেন্ডারি বাজারে পুঁজি লগ্নি করে লোকসানেই বেশি পড়েন।
এমন বাস্তবতায়, পুঁজিবাজারের স্থিতিশিলতায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এখন থেকে তালিকাভুক্ত নতুন শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকেই ১০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। বৃহস্পতিবার ( ৬ মে) বিএসইসি এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে কোম্পানির দর ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। তবে নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে পরপর দুই দিন ৫০ শতাংশ করে দর বাড়তে পারে। এখন থেকে তার পরিবর্তে, নতুন শেয়ারের লেনদেন শুরুর প্রথমদিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ হবে। এতে ১০ শতাংশ পর্যন্তই দাম বাড়তে পারবে।
এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নতুন শেয়ারে প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ার সুযোগ রেখেছিল কমিশন। এ হিসাবে ফিক্সড প্রাইজ পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা একটি কোম্পানির শেয়ার দাম লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারত। এরপরে দ্বিতীয় দিন ওই ১৫ টাকার ওপরে আরও ৫০ শতাংশ বা ৭ দশমিক ৫০ টাকা বাড়ার সুযোগ ছিল।
ওই ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপের আগে লেনদেনের প্রথম দুই দিন কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না।
এন-কে