বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে দক্ষ কর্মীর যে চাহিদা বাড়ছে তাতে প্রকৌশলীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।
রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট-২২ এ অংশ নিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ। তিনি প্রকৌশলিদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা বৃহৎ সংগঠন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন- ওআইসি এর ইয়ুথ উইিং এর আয়োজনে ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন। বিশ্বের ৬৭টি দেশের ৩০০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৩ দিনের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ Youth Entrepreneurship এবং Digital Trends in Youth Sphere এর উপর রাউন্ড টেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্সের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এসময় তরুন জনগোষ্টির জন্য উন্নত দেশেগুলোর নেয়া বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি। সামিটে ইয়ুথ ডেলিগেট হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে বিশ্বের প্রায় ১৩০ টি দেশের ৭৬০০ জনের আবেদনের ভিত্তিতে ৩০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়।
হাসান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যে প্রক্রিয়ার তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই বিষয়গুলো আমরা শেখার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে দক্ষ কর্মীর যে চাহিদা বাড়ছে তাতে প্রকৌশলীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশী তরুনদের গতানুগতিক সিলেবাসের বাইরে হাতে কলমে শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
হাসান মাহমুদ বলেন, একদিকে দেশে প্রচলিত চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে অন্যদিকে চাকরিদাতারাও কাঙ্ক্ষিত কর্মীর খোঁজে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, এই ধরনের ফারাক কিভাবে রোধ করা যায় সে ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সম্মেলনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্তরে তরুনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেন হাসান মাহমুদ।
ইউআর/