মধ্য ইউরোপের স্থলবেষ্টিত দেশ হাঙ্গেরিতে নতুন দুইটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোসএটম এই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্র হাঙ্গেরির সঙ্গে রাশিয়ার এই চুক্তি সই হয় ২০১৪ সালে। এর লক্ষ্য বর্তমান পাকস পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্প্রসারণ।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর জেরে রাশিয়ার নানা শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে ইইউ। তবে এর বাইরে রয়েছে রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্প।
রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা শর্তহীনভাবে সমর্থন করেনি হাঙ্গেরি।
পাকস কেন্দ্রটি থেকে বর্তমানে হাঙ্গেরি নিজেদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ পেয়ে থাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নির্মাণ শুরু করা যাক!’
বর্তমানে ওই কেন্দ্রটিতে চারটি চুল্লি রয়েছে। এগুলো নির্মিত হয় সোভিয়েত আমলে। অতিরিক্ত দুইটি চুল্লি নির্মাণ করা হলে কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো লেখেন, ‘এটা অনেক বড় পদক্ষেপ, গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। এই পদ্ধতিতে আমরা দীর্ঘমেয়াদে হাঙ্গেরির জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো এবং হাঙ্গেরিয়ানদের জ্বালানি দামের উগ্র পরিবর্তন থেকে রক্ষা করবো’।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, নতুন দুইটি চুল্লি ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। এক হাজার ২৫০ কোটি ইউরোর এই বিতর্কিত প্রকল্পটির বড় অংশের অর্থায়ন করবে রাশিয়া।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহের নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে অনেক ইইউ দেশ।
ইউআর/