ইউক্রেনে হামলা করার পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
অবশ্য এসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগেই তেলের নতুন বাজার খোঁজা শুরু কর রাশিয়া। বিশেষ করে এশিয়ায় নজর দেয় তারা। কাস্টমার ধরতে রাশিয়া নিজেদের তেলের ওপর ‘ডিসকাউন্ট’ সুবিধা দেয়। মানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে মূল্য রয়েছে তার চেয়েও কম মূল্যে তেল দেওয়া শুরু করে।
এবার রাশিয়ার সেই ‘ডিসকাউন্ট’ সুবিধা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশ মিয়ানমার।
মিয়ানমার জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে এবং সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে রাশিয়ার তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
রাশিয়ার সঙ্গে আগে থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে মিয়ানমারের। দুই দেশই পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ওপর রয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা জোর করে ক্ষমতা দখল করায় তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার তেল কেনার ব্যাপারে সামরিক জান্তার মুখপাত্র ঝাও মিন তুন বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমরা রাশিয়া থেকে তেল আনার অনুমতি পেয়েছি। তাদের তেল কেনা হচ্ছে কারণ এর মান ভালো এবং দাম কম।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ার জ্বালানি তেল আসা শুরু করবে।
এদিকে রাশিয়া ডিসকাউন্ট মূল্যে তেল দেওয়ার পর এশিয়ার সুপার পাওয়ার চীন ও বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত রাশিয়ার তেল কেনা শুরু করে। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিল মিয়ানমারও।
ইউআর/