পাবলিক প্লেসে উচ্চস্বরে কথা বলার ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান করেছে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ। বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির উচ্চস্বরের কথার দরুন ওই স্থানে থাকা অন্য ব্যক্তিদের অসুবিধা বা বিরক্তির সৃষ্টি হয়, তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১০০ রিয়েল (২ হাজার ৫৩৩ টাকা) জরিমানা করা হবে। আল ওয়াতানের বরাত দিয়ে বুধবার এ খবর জানিয়েছে সৌদি গেজেট।
সৌদি পাবলিক এটিকুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ আবদুল করিম জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ শুরু, কাউন্সিল এবং মন্ত্রিপরিষদের বিশেষজ্ঞদের অফিসের অনুমোদনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা আইন লঙ্ঘন সম্পর্কিত প্রবিধান অনুমোদন করা হয়েছে। তারই আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে উচ্চস্বরে কথা বলায় জরিমানার বিধানটি।
আব্দুল করিম বলেন, ‘প্রবিধানের ৫নং আইটেম-দর্শকদের ক্ষতি করে, ভয় দেখায় বা বিপদে ফেলে এমন কোনো পাবলিক প্লেসে জোরে কথা বলা বা সে ধরনের কোনো কাজ করাকে জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার পরিপন্থি বলে মনে করে।
অ্যাসোসিয়েশনের এ কর্মকর্তা জানান, গত কয়েকদিন ধরে সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি বাজারে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাবলিক অর্ডার ভঙ্গ এবং নৈতিকতার পরিপন্থি হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধে যে কোনো ধরনের শিষ্টাচার লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নতুন বিধান অনুযায়ী, পুরুষ ও মহিলাদের শালীন পোশাক পরতে হবে এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া ময়লা ফেলা, থুতু ফেলা, অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তোলা বা ভিডিও করা এবং নামাজের সময় গান বাজানোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিধানে। সমস্ত লঙ্ঘনের জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬ হাজার রিয়েল পর্যন্ত।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে উচ্চশব্দে গান বাজানো নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছিল সৌদি আরব। সেই নির্দেশনায় আজান ও নামাজের সময় গান বাজানো কিংবা গানের শব্দ বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
এই নিষেধাজ্ঞা না মানলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওই আইনে নামাজের সময় কেউ গান বাজালে প্রথমবার এক হাজার রিয়েল এবং একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবে মসজিদ বা সরকারি অফিসে শর্টস পরার শাস্তি হিসাবে ২৫০ থেকে পাঁচ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়। যদিও সৌদি আরবে পুরুষরা জনসমক্ষে হাফপ্যান্ট পরলে তা শিষ্টাচারের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয় না।
ইউআর/