যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, চুক্তিও আছে। তার ওপরে ভিত্তি করেই বেনজীরের যাওয়া নিয়ে কাজ চলছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসা ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক হয়।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে বেনজীর আহমেদসহ বাহিনীর সাবেক এবং বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন রাজস্ব বিভাগ ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে নিউইয়র্কে পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউএনএর (জাতিসংঘ) মধ্যকার সম্পর্ক রয়েছে, এগ্রিমেন্ট (চুক্তি) রয়েছে। তার ওপরে ভিত্তি করে সে বিষয়ে কাজ চলছে।’
বৈঠকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার সুপারিশ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীর কেউ বেআইনি কাজ করলে তাকে আইনের আওতায় আনে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবের বিষয়ে আমি এও বলেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি সেলফ ডিফেন্সে গুলি করে থাকে।সেটা যথাযথ হয়েছে কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয় ঘটনার পরপরই। তিনি (ম্যাজিস্ট্রেট) যদি মনে করেন এটা যথাযথ হয়নি, তাহলে সেই সদস্যকে ট্রায়াল ফেইস করতে হয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার) বলেছেন, এটা তো আপনারা পাবলিকলি এনাউন্স করেন না। আমরা বলেছি, যেগুলো করার সেগুলো আমরা করছি।’
ইউআর/