যুক্তরাষ্ট্রে গত পাঁচ মাসের মধ্যে গ্যাসের দাম সর্বনিম্ন হয়েছে। আমেরিকান অটোমোবাইলস অ্যাসোসিয়েশন (এএএ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক গ্যালন গ্যাসের দাম ছিল ৩.৯৯ ডলার। গত সপ্তাহে গ্যাসের দাম কমেছিল ১৫ সেন্ট এবং গত মাসে কমেছিল ৬৮ সেন্ট। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এখবর জানিয়েছে।
কেনাকাটার অ্যাপ গ্যাসবাডি জানিয়েছে, বুধবার গ্যাসের গ্যালন প্রতি দামের জাতীয় গড় ছিল ৩.৯৮ ডলার।
গ্যাসের দাম, বিমানের টিকিট ও পোশাকের দাম কমায় ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। যদিও মূল্যস্ফীতি এখনও চার দশকের সর্বোচ্চের কাছাকাছি রয়েছে।
মহামারির শুরুর ধাক্কায় ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর দাম পুনরায় বাড়ে।
সম্প্রতি, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা থেকে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। জুনে ইউএস বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েল প্রতি ব্যারেল ছিল ১২০ ডলার। কিন্তু কিছুদিন আগে তা কমে হয়েছে ৯০ ডলার।
গ্যাসের উচ্চ মূল্যের কারণে মার্কিন মোটরচালকরা গাড়ি চালানো কমিয়ে দিয়েছিলেন। আগস্টের শুরুতে গ্যাসের চাহিদা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৩.৩ শতাংশ।
আসন্ন নভেম্বরে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে গ্যাসের দাম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে পারে। রিপাবলিকানরা গ্যাসের উচ্চ মূল্যের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করছে। বিশেষ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইনের অনুমতি বাতিল ও কেন্দ্রীয় ভূমিতে নতুন তেল ও গ্যাসের লিজ স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কারণে।
বাইডেন বলেছেন, মধ্য জুনে মূল্য চূড়ায় ছিল। সম্প্রতি তা কমে যাওয়াতে দুটি গাড়ি থাকা একটি পরিবার মাসে ১০০ ডলার সঞ্চয় করছে। এটি স্বস্তিদায়ক। আমরা হাল ছাড়ছি না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, তেল কোম্পানিগুলো তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বাড়াচ্ছে না। কারণ তারা মুনাফা করতে চাইছে।
এএএ-এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মার্চ মাসের শুরুতে প্রতি গ্যালন গ্যাসের দাম ৪ ডলারের কম ছিল না। ১৪ জুন দেশটিতে গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ৫.০২ ডলার পৌছায়। জুনের বাকি সময়ে তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এক বছর আগে দেশটিতে প্রতি গ্যালন গ্যাসের দাম ছিল গড়ে ৩.২০ ডলার।
ইউআর/