জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৫৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ হারে ১১ রানে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণেই হার এড়াতে পারেনি টাইগাররা।
বাংলাদেশ তো বটেই, যে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষেই এই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল জিম্বাবুয়ে।
ঘরে-বাইরে মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো সংস্করণের ক্রিকেটে ২০১৩ সালের পর এই প্রথম সিরিজ জয়। এক সময় যে বাংলাদেশকে তারা বলে-কয়ে হারাত, অনেক বছর ধরেই সেই বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে বাংলাদেশকে তারা ফিরিয়ে দিতে পেরেছে পুরোনো স্বাদ।
মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের তরুণ অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ১৪ ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। কিন্তু ১৫তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট পড়ে গেলে আমরা চাপের মধ্যে পড়ে যাই। আফিফ হোসেন ভালো খেলেছে। আমরা তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারিনি। তবে ওয়ানডেতে আমরা কতোটা ভালো দল সবাই জানে। চেষ্টা থাকবে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার।
দলের এই হারের জন্য নাসুম আহমেদের সেই (এক ওভারে ৩৪ রান খরচ) এক ওভারকে দায়ী করছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, প্রথম ১৪ ওভারে আমরা খেলায় আধিপত্য দেখিয়েছি। কিন্তু এক ওভার খেলা বদলে দিয়েছে।
রান তাড়ায় শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। উইকেটে ছিলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদি হাসান। ১৯তম ওভারে ভিক্টর নাচুইয়ের করা ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় মেহেদির উইকেট।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। লুক জঙ্গুয়ের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন হাসান মাহমুদ। শেষ চার বলে ৭ রান করলেও জয় ছিনিয়ে নিতে পারেননি আফিফ-নাসুমরা।
এ ব্যাপারে মোসাদ্দেক বলেন, ভিক্টর নাচুইয়ের করা ১৯তম ওভারটি দুর্দান্ত ছিল। সে আমাদের খুব চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।
ইউআর/