চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারে সচেতন না হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে পাগলা ঘোড়ার ন্যায়। থামানো যাচ্ছে না করোনার লাগাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ২রা মে পর্যন্ত এই ১বছর ১৭দিন আনোয়ারায় করোনা রোগী শনাক্ত ৪৮২জনে দাঁড়িয়েছে।
তারমধ্যে শুধু মাত্র গত এপ্রিলে ৫০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬০ জনের দেহে করোনার বিষ শনাক্ত।
করোনা পরিসংখ্যান অনুযায়ী আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য মতে , সর্বশেষ গত ২রা মে তারিখের ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা নতুন শনাক্ত ৮ জন। সর্বমোট ৩৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত ৪৮২ জন। গত ২ তারিখের রিপোর্ট মৃত্যু-০ , অদ্যাবধি মোট মৃত্যু ৪ জন।
বন্দর, বৈরাগ, বরুমচড়া, চাতরী , হাইলধর ইউনিয়নের বেশির ভাগ বাসিন্দাদের শরীরের ইতি মধ্যে করোনা বিষ পাওয়া গেছে।
অপর দিকে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে আনোয়ারাবাসী মধ্যে ছিলো বেশ উৎসব মুখর। আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে-১১৯৫৯ জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে-৮৪২৭ জন।
আজ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, প্রথম ডোজ টিকা স্থগিত রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৫৫ জন।
এই বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা আবু জাহিদ মোঃ সাইফ উদ্দিন বলেন , পহেলা এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো তাদের মধ্যে ১৬০ জন পজেটিভ এসেছে। শতকরা হিসেবে তা প্রায় ৩১ শতাংশ। এই পর্যন্ত ৩৩৭১জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪৮২ জনের পজেটিভ এসেছে। যেহেতু আনোয়ারায় সংক্রমণের সংখ্যা কম বেশি বেড়ে চলেছে সেহেতু করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এই বছর যেহেতু সংক্রামনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু সকলকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে সকলকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখে চলাফেরা করতে হবে এবং মাস্ক পরিধান ও বাইরে থেকে এসে সাবান, স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। সচেতনতায় এক মাত্র অবলম্বন।