নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে চড়ে নৌ মহড়া তদারকি করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাসাই ইন-ওয়েন। ছয় বছর দায়িত্ব পালনের সময় মঙ্গলবার মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো এই মহড়ায় অংশ নেন তিনি। নৌ ও বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া তদারকির সময় তিনি দ্বীপটি রক্ষায় সেনাবাহিনীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রশংসা করেন।
চীনের কাছ থেকে তাইওয়ানের উপর সামরিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এর মুখে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবারের মহড়ায় আগ্রাসী বাহিনীকে মোকাবিলা, বিমান অভিযানের মহড়া চালানো হয়।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সময়ও তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। আর গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করে। চীনা দাবির মুখে প্রতিরক্ষা বাড়ানো এবং বেইজিং আগ্রাসন শুরু করলে তা মোকাবিলার প্রস্তুতি বাড়িয়েছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের বার্ষিক ‘হান কুয়াং’ মহড়ায় ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারসহ ২০টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয়। তাইওয়ানের উত্তরপূর্ব উপকূলে অনুষ্ঠিত মহড়ায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং নিজেদের উৎপাদিত চিং-কুয়ো যুদ্ধবিমান গোলাবর্ষণের মহড়া চালায়।
প্রেসিডেন্ট তাসাই ইন-ওয়েনকে একটি নৌজাহাজে চড়ে ছদ্মবেশি পোশাক পরে সেনা সদস্যদেরর সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক নামের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চমৎকার এই মহড়ায় চীন প্রজাতন্ত্রের সেনাদের দেশকে রক্ষা করার ক্ষমতা এবং দৃঢ়তা প্রদর্শিত হয়েছে। আসুন আমরা একসাথে আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করি। সাবাশ’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান তাইওয়ানের যেকোনও সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বেইজিংয়ের হুঁশিয়ারি মনে করিয়ে দেন। নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সামরিকভাবে চীনের মোকাবিলা করার জন্য তাইওয়ানের প্রচেষ্টা একটি রথকে পতঙ্গের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার মতো। শেষ পর্যন্ত, এটা ব্যর্থ হবে’।
ইউআর/