ইউরোপে এবার কোভিড-১৯ পরবর্তী গ্রীষ্মকাল হওয়ার কথা ছিল। বেশিরভাগ স্থানে মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়, ছুটির মৌসুমের ব্যস্ততা চলছে পূর্ণ গতিতে। মহামারির দুই বছরে সমুদ্র সৈকত ও শহরগুলো পর্যটক শূন্য থাকার কারণে এবার কর্মীদের ব্যস্ততার শেষ নেই। কিন্তু এর পরিবর্তে মানুষ যে বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো ভাইরাসটি কখনও দূরে যায়নি।
করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের তীব্র সংক্রমণশীল সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৫ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ মহাদেশে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, করোনার আরেকটি ঢেউ শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং সংগীত উৎসবের মতো গণজমায়েতের আয়োজনগুলোতে মানুষের অংশগ্রহণও ভাইরাসের বিস্তারে ভূমিকা রাখছে। এছাড়া প্রকাশিত সরকারি হিসাবের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ দেশ নাটকীয়ভাবে পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এর ইউরোপীয় জনস্বাস্থ্য বিষয়ের অধ্যাপক মার্টিন ম্যাককি বলেছেন, করোনার এই সংক্রমণ বৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে তা এখন শীতের ফ্লুর মতো মৌসুমি রোগে পরিণত হয়নি। এর বদলে এখনকার ঢেউ আগের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক। এখনও স্পষ্ট নয় তা দীর্ঘস্থায়ী হবে কিনা।
তিনি বলেন, এটি মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো নয়। ভবিষ্যতের ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে এখনকার টিকায় সুরক্ষা পাওয়া যাবে বলে কোনও নিশ্চয়তা নেই। কয়েক মাস পর পর আমরা নতুন ঢেউ দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে আমরা কোথায় যাচ্ছি এভাবে তা আমাদের পুনরায় পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
ইউআর/