সরকারের সবকিছুতে দোষ-ক্রটি খুঁজে বের করা বিএনপির মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।
গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলা বিএনপির মুখে শোভা পায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকতে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের কলংকিত অধ্যায়ও এদেশে সৃষ্টি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা পূর্ণিমার আলো ঝলঝল রাতেও অমাবশ্যার অন্ধকার দেখতে পায়।’
নির্বাচন ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার রেকর্ডে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এক কোটি সোয়া লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে আজিজ মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল, যার কারণে দেশে এক এগারোর মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের সেই জালিয়াতির কথা দেশের মানুষ এখনো ভুলে যায়নি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আমলে সকাল ১০টার মধ্যেই ভোট প্রদান শেষ করে দেয়া হয়েছিল, তখন চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনার আগেই চূড়ান্ত ফলাফল রেডিও-টিভিতে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন বিএনপির মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার বুলি ‘ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো ’। অসহায় কর্মহীন, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজন দেখে নয়, বরং নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারের তালিকা করে এবং যাচাই বাছাই এর মাধ্যমে এসব সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মুখ দেখে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা এবার যেন কোনোভাবেই বেহাতে না যায় সে ব্যাপারেও ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা বিতরণে কেউ কোনো অপকর্ম ও অনিয়ম করলে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’
গণমাধ্যম নাকি সরকার নিজের মতো করে নিয়েছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর সরকারের যদি নিয়ন্ত্রণই থাকবে তাহলে প্রতিদিন তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার করে কেমন করে?’ তিনি বলেন, ‘এমনকি বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।’