ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় এক শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও ৯০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে স্থানে এই হামলা চালানো হয়েছে তার কোনও সামরিক গুরুত্বই নেই।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল পুলিশ জানিয়েছে, ভিনিতসিয়া শহরের একটি অফিস ভবনে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে আশেপাশের আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহরটি রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ২৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিইলো তাইমেশেঙ্কো এক টেলিগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, কৃষ্ণ সাগরে থাকা একটি রুশ সাবমেরিন থেকে শহরটি লক্ষ্য করে তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয। তবে রুশ সেনাবাহিনী এই হামলার কথা স্বীকার করেনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে শুরু হওয়া আগুনে পাশের পার্কিং এলাকায় রাখা প্রায় ৫০ গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ইউক্রেনীয় পুলিশ জানিয়েছে মানুষ নিখোঁজের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভিনিতসিয়া অঞ্চলের গভর্নর সেরহাই বোরজোভ জানান, ওই এলাকায় ছোড়া চতুর্থ আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্রতিদিন রাশিয়া বেসামরিক জনগোষ্ঠী ধ্বংস করছে, ইউক্রেনীয় শিশুদের হত্যা করছে আর বেসামরিকদের প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। এমন স্থানে ছুড়ছে যেখানে সামরিক (লক্ষ্যবস্তু) নেই। এটা প্রকাশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না হলে কোনটা?’
ইউআর/