খুলনার ডুমুরিয়ায় কন্যা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মাহাবুবুর মোড়লকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে আসামি মাহাবুবুর পলাতক রয়েছে। আদালতের পিপি মো. এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাহবুব ডুমুরিয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া এলাকার সিরাজ মোড়লের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আসামি মাহবুব সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী রেশমাকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে। তবে তার স্ত্রী যেতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে রেশমা বেগম ও তার এক বছর বয়সী কন্যাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তাদের দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে মাহাবুব পালিয়ে যায়। আসামি মাহাবুবুরের বাবা সিরাজ মোড়ল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেশমার পিতাকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানান। তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের মরদেহের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর রেশমার বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম নিহতের স্বামী মাহাবুবুরকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে মাহাবুবুর মোড়লের সঙ্গে রেশমা বেগমের বিয়ে হয়। এর এক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। প্রায়ই মাহাবুবুর স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো।
ইউআর/