রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। ইতোমধ্যে তাকে একই হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ মে) বিকেলে পৌণে ৫ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। আপাতত আপনারা এটুকুই জানুন। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছে। যে কারণে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ সময় তার বাসভবন ফিরোজায় আরও ৮ জন ব্যক্তিগত স্টাফ করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তখন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, খুব লো টাইপের করোনা পজিটিভ এসেছে তার (খালেদা জিয়ার)।
এদিকে গত ৩০ এপ্রিল খালেদার করোনা আক্রান্ত ৮ জন স্টাফের সবাই সুস্থ হন। তবে তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন কি না সে সময় এ বিষয়ে মুখ খোলেননি সংশ্লিষ্ট কেউ। চিকিৎসকরা বলছিলেন, তার শরীরে এখন করোনার কোনো উপসর্গ নেই। তিনি এখন এভার কেয়ার হাসপাতালে নন করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন।
এরপর শনিবার (১ মে) চিকিৎসকরা বলছিলেন, শুক্র ও শনিবার মে দিবসের সরকারি ছুটির কারণে এই দুদিন ঠিকমতো খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়নি। ফলে হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফিরতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। প্রায় আড়াই বছরের মতো কারাগারে ছিলেন তিনি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। দুই দফায় এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।