উজান থেকে নেমে আসা টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে এ পর্যন্ত ১২ জেলার ৬৪ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, এবারের বন্যা ও পাহাড়ি ঢল ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
আজ রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেল্ডনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যায় সিলেটের ৬০ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে ডু্বে গেছে।
তিনি জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি,বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় শুকনো ও অন্যান্য খাবার ছাড়াও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে স্থানীয়ভাবে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি ক্রয় করে সরবরাহ এবং রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানির বোতল, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং শুকনো খাবার সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের বিষয়ে তারা কাজ করবেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ইউআর/