ইউক্রেনের কাছে চারটি এমকিউ-১সি গ্রে ঈগল ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসব ড্রোনে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা যাবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জেনারেল অটোমোবাইলসের তৈরি এসব ড্রোন বিক্রির আগে কংগ্রেসের অনুমোদন পড়বে। একটি সূত্র জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে এই বিক্রি আটকে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্ত্র বিক্রির নীতি পর্যালোচনা করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর থেকে ইউক্রেন বেশ কয়েক ধরনের স্বল্প পাল্লার ড্রোন ব্যবহার করছে। এসব ড্রোনের মধ্যে রয়েছে এরোভাইরনমেন্ট আরকিউ-২০ পুমা এই এবং তুরস্কের বায়রাখতার-টিবি২।
তবে গ্রে ঈগল আরও বেশি উন্নত প্রযুক্তির। এটি ৩০ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি সময় একটানা উড়তে পারে এবং বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্য ধারণ করতে পারে। গ্রে ঈগলের সামরিক ধরনটি বেশি পরিচিত শিকারি ড্রোন নামে। এটি আটটি শক্তিশালী হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ধারণ করতে পারে।
ড্রোন বিক্রির খবরটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি পুনঃব্যবহারযোগ্য উন্নত মার্কিন সিস্টেম। এটি প্রথমবারের মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রের গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম হবে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য এই ড্রোন বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেওয়ার আগে কংগ্রেসকে জানাতে চায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
তবে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র পেন্টাগনে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরে পেন্টাগন মুখপাত্র জানান, ঘোষণা দেওয়ার মতো কিছু নেই।
ইউআর/