ভালেন্সিয়ার মাঠে নামলেই কী যেন পেয়ে বলে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাক। বিপদে পড়তে বসেছিল আবারও। লা লিগায় রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে দলকে পথ দেখালেন আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড লিওনেল মেসি। দারুণ জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে ভালোমতোই টিকে রইলো রোনাল্ড কুমানের শিষ্যরা।
মেস্তায়া স্টেডিয়ামে রবিবার রাতের ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। মেসি করেছেন জোড়া গোল।
লিগে এই মাঠে আগের তিন ম্যাচে কোনো জয় ছিল না কাতালান ক্লাবটির। হেরেছিল একটি, দুটি ড্র। সব মিলিয়ে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে আগের ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিলো বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে কেউ গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় ভালেন্সিয়া। কর্নার থেকে এগিয়ে যায় তারা। কার্লোস সলেরের দূরের পোস্টে নেওয়া কর্নারে পেছন থেকে বিনা বাধায় ছুটে গিয়ে হেডে বল ফাঁকা জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল পাউলিস্তা। রক্ষণভাগের পাশাপাশি পোস্ট ছেড়ে যাওয়া টের স্টেগেনের দায় আছে যথেষ্ট।
এর সাত মিনিট পরেই এক ঘটনাবহুল গোলে সমতা টানেন মেসি। ডি-বক্সে ভালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার তনি লাতো ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ঠেকানোয় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বার্সেলোনা অধিনায়কের দুর্বল স্পট কিক অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ইয়াসপের সিলেসেন। এরপরও বল ক্লিয়ার হয়নি, ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন মেসি।
ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় তিন দিন আগে গ্রানাদার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারের স্বাদ পাওয়া বার্সেলোনা। ৬৯তম মিনিটে দেখা মেলে তৃতীয় গোল। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে চোখ ধাঁধানো সব ফ্রি কিকে অনেকবার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন মেসি। নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটিও করেছেন নান্দনিক এক ফ্রি কিকে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে তার বাঁকানো শটে বল কাছের পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
এবারের লিগে এই নিয়ে ২৮ গোল করলেন রেকর্ড সাতটি পিচিচি ট্রফি জয়ী মেসি। ৭ গোল কম নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে করিম বেনজেমা।