ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পণ্য রফতানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা খড়্গ’ পড়েছে রাশিয়ার ওপর। এসব পণ্যের মধ্যে অন্যতম অপরিশোধিত তেল।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেশটির তেল বিক্রি বাড়ছে। সম্প্রতি প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ব্যারল অপরিশোধিত তেল বিক্রি করেছে রাশিয়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কোম্পানির এত পরিমাণ তেল বিক্রি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
জ্বালানি শক্তি বিশ্লেষণকারী সংস্থা ভর্টেক্সার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ইউরালস’র বিক্রির পর অপরিশোধিত এসব তেল নিয়ে সমুদ্রে অবস্থান করছে রাশিয়ার কয়েকটি তেল ট্যাংকার।
যাতে অন্তত ৬ কোটি ২০ লাখ ব্যারল অপরিশোধিত তেল রয়েছে।
কারা এ তেল কিনেছে তা এখনও নির্দিষ্ট নয়।
সোজা কথায় বললে, যে পরিমাণ তেল রাশিয়া বিক্রি করেছে, তার খরিদদার খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ভর্টেক্সা বলেছে, যুদ্ধ শুরুর আগে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া বিক্রি করেছে, সাম্প্রতিক বিক্রি সে তুলনায় তিনগুণ। এসব তেল নিয়ে জাহাজগুলো সাগরে ভাসছে।
কিন্তু হিউস্টোনভিত্তিক জ্বালানি কৌশল প্রণয়নকারী সংস্থা ক্লে সেইগল বলেছে, বিভিন্ন খবরের শিরোনাম দেখে বোঝাই যায়, রাশিয়ার রফতানি খাত এখনও তুলনামূলক শক্তিশালী। সমুদ্রে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। একইসঙ্গে ইউরোপে রাশিয়ার তেল বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে।
তেলগুলো কোথায় কোথায় যাচ্ছে তা অপরিষ্কার। তবে, চীন তার মিত্র দেশ থেকে তেল কেনা অবিরত রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। যা থেকে অনুমান করা যায়, বিক্রিত তেলের একটি বড় অংশ পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যাচ্ছে। কিছু অংশ ভারতে পৌঁছাবে, বাকি অংশ অজ্ঞাত স্থানে বিক্রি হচ্ছে। কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়াই শতকরা ১৫ ভাগ তেলবাহী জাহাজ সাগরে ভাসছে বলে জানায় ক্লে সেইগল।
ইউক্রেনে হামলার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে অপরিশোধিত তেল অন্যতম। অন্যান্য দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ভয়ে রুশ কার্গোয় আমদানিকৃত পণ্য গ্রহণ করছে না। ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
ইউআর/