ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ছাত্রদলের নেতাদের দেখতে যাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর হলিফ্যামেলি হাসপাতালে আহত ছাত্রদলের নেতাদের দেখতে যাবেন তিনি। এরপর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাবেন বিএনপি মহাসচিব।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের কাছে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রদলের ৪০ নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি সংগঠনটির নেতাদের। আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতারাও রয়েছেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়া সব মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
২৩ মে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে আগামী ২৬ মে (বৃহস্পতিবার) ঢাকা ব্যতিত সকল মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপি এবং সকল অঙ্গ-সংগঠন যৌথভাবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত করবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুসসহ দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বৈঠকে বলা হয়- আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির শামিল। অনির্বাচিত সরকারের সরকার প্রধান হিসাবে এই মন্তব্য অত্যন্ত বিপদ জনক এই কারণে যে, নির্বাহী বিভাগের প্রধান যখন পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন তখন তা হত্যার নির্দেশের পর্যায়ে পড়ে।
‘বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. ইউনুসকেও একই ধরনের হুমকি দেন যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ। বৈঠক এই উক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।’’