মিরপুর হলো টাইগারদের হোম অব ক্রিকেট। নিজেদের চীর চেনা উইকেটে সকালেই এমন ব্যাটিং ধস হবে হয়তো সাকিব-তামিমরাও আচ করতে পারেননি।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই টাইগার শিবিরে ধস নামান লংকান দুই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। তাদের গতির মুখে পড়ে একের পর এক সাজঘেরে ফেরেন-মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
৬.৫ ওভারে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সাকিব-তামিম-মুমিনুলদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে পার পাঠক অনুমান করেছেন হয়তো বাজে কিছু হতে যাচ্ছে। কিন্তু না, এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়েও যে দলের হাল ধরা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস।
জাতীয় দলের এই দুই তারকা ব্যাটসম্যানের বাড়তি দায়িত্বশীলতার কারণেই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচে ফিরতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
২৪ রান ৫ উইকেটে হারানো বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মুশফিক-লিটন। ষষ্ঠ উইকেটে ইতোমধ্যে ২১৭* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে রেকর্ড গড়েছেন তারা। দেশের টেস্টে ক্রিকেটের ২২ বছরের ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০০৭ সালে এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই কলম্বো টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে ১৯১ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ও জাতীয় দলের বর্তমান তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।