আইআইওজেকেতে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বন্ধ করতে এবং সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে ইসলামাবাদ নয়াদিল্লিকে আহ্বান করেছে। ভারতীয় চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্সকে (সিডি’এ) বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয় এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে তিহার জেলে বন্দী হুররিয়াত নেতা মুহাম্মদ ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে একটি ডিমার্চ হস্তান্তর করা হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তরের (এফও) মুখপাত্রের মতে, ভারতীয় কূটনীতিককে পাকিস্তানের গুরুতর উদ্বেগ জানানো হয় যে, আদিবাসী কাশ্মীরি নেতৃত্বের কণ্ঠস্বরকে দমন করার জন্য, ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। মুখপাত্র যোগ করেন, কাশ্মীরি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার নৃশংস ভারতীয় কৌশল বা নিপীড়ন, দমন ও ভয় দেখানোর পরিবেশ কাশ্মীরিদের দৃঢ় সংগ্রামকে নস্যাৎ করতে পারবে না। ভারতীয় পক্ষকে ২০১৯ সাল থেকে অমানবিক পরিস্থিতিতে মালিকের তিহার জেলে বন্দী হওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের গভীর উদ্বেগও জানানো হয়। তার দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং প্রাপ্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা না দেয়ার পরেও তার প্রতি নির্মম আচরণের ফলে তার স্বাস্থ্যের তীব্র অবনতি ঘটেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সিডিএর মাধ্যমে তার সরকারকে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল যে, বেআইনিভাবে কাশ্মীরি নেতৃত্বকে জিম্মি করে রাখা এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার অস্বীকার করা হয়েছে। অবিলম্বে ভারতের অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে, বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। বিভিন্ন কথিত অভিযোগে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে, অমানবিক সামরিক অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং আইআইওজেকে-এর জনগণকে প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) রেজুলেশন অনুযায়ী তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে।
সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে মালিককে খালাস এবং জেল থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় পাকিস্তান, যাতে তিনি তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হতে পারেন, তার স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে পারেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। পাকিস্তান জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও আহ্বান জানিয়েছে, ভারতের একজন বিশিষ্ট কাশ্মীরি নেতার সাথে যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বিবেচনা করার জন্য, যিনি গত কয়েক দশক সময় ধরে শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন।
ইউআর/