বাংলাদেশের সামনে ৪৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ৮ম ওভারেই তামিমকে হারানো বাংলাদেশ তাদের দুই ওপেনারকে হারিয়েছে ৭৩ রানেই। পরে জয়াবিক্রমার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শান্তও। যাতে লক্ষ্যে পৌঁছানোর যাত্রা কঠিন হয়ে গেল সফরকারীদের।
দলীয় ৩১ রানে আউট হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। ফেরার আগে ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তামিম ফিরলেও সাবলীল ব্যাট চালাতে থাকেন সাইফ। তবে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৩৪ রান করতেই লুজ শট খেলে মিডউইকেটে লাকমলের তালুবন্দি হয়ে ফেরে এই ওপেনার।
দুটি উইকেটই তুলে নেন লঙ্কান দুই স্পিনার রমেশ মেন্ডিস ও জয়াবিক্রমা। তবে শান্ত-মোমিনুলের ব্যাটে স্কোর একশ ছাড়ালেও দলীয় ১০৪ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৬ রান করা শান্ত। মোমিনুল ২৩ রানে ক্রিজে আছেন। ২৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান।
চতুর্থ দিন সকালে ৫টি এবং লাঞ্চের পর দ্রুতই আরও ৩টি উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। যাতে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংসেও ডিক্লেয়ার করে শ্রীলঙ্কা।
২ উইকেটের বিনিময়ে ১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ছিলেন ক্রিজে। সকালে ২২ রান যোগ হতেই তাইজুল ইসলামের বলে শর্ট লেগে ইয়াসির আলির তালুবন্দী হয়ে ফেরেন ম্যাথিউজ।
চতুর্থ উইকেটে দ্রুত রান তোলেন করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। গড়েন ৭৩ রানের জুটি। ৬৬ রান করা করুনারত্নেকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান। করুনারত্নের বিদায়ের পর ধনাঞ্জয়াকেও সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। স্লিপে নাজমুল হোসাইন শান্তর তালুবন্দী হওয়ার আগে তিনি করেন ৫২ বলে ৪১ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কা ও নিরোশান ডিকভেলা দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। তাদের ৪৪ বলে ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। শরিফুলের তালুবন্দী হয়ে বিদায় নেন ৩১ বলে ২৪ রান করা নিশাঙ্কা। ১৬২ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাইজুল-তাসকিন মিলে আরও ৩টি উইকেট তুলে নিলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৯৪ রান। ডিকভেলা ২৪ রানে তাসকিনের শিকার হয়ে ফিরলে পরের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টমবার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট লাভ করেন তাইজুল। ৭২ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়ে বাঁহাতি এই স্পিনারই বাংলাদেশের পক্ষে সফল বোলার। এছাড়া মিরাজ ২টি এবং সাইফ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট লাভ করেন।