প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে যদি হাইকোর্টের সব বেঞ্চ ভার্চুয়ালি খুলে দেওয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার লোকের সমাগম হবে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।’
আজ রোববার আপিল বিভাগে পেট্রোবাংলা বনাম সুজাত আলী মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এ আশঙ্কার কথা জানান।
এ সময় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘ঢাকা জজ কোর্টে দেখলাম হাজার হাজার লোক। একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজন লেগে আছেন। আমার কাছে এ সংক্রান্ত ভিডিও এখনও আছে। আমরা কী করব? আমরা যদি এখানেও ভার্চুয়ালি সব কোর্ট খুলে দেই, আমাদের এখানেও অন্তত প্রতিদিন তিন হাজার লোকের সমাগম হবে। আমাদের কোর্টের ভেতরে জায়গা হয় না। মানুষ এসে ঈদগাহ মাঠে, কোর্টের বিভিন্ন জায়গায় বসে থাকে।’
এ সময় বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, ‘গতকাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে করোনায় একদিনে তিনজন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মারা গেছেন।’
প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা এখন কী করব? এখন যদি সব কোর্ট ভার্চুয়ালি খুলে দেই, তাহলে অন্তত প্রতিদিন তিন হাজার লোক আসবে। আমরা তো চাই কোর্ট চলুক। মানুষের আরজেন্সি আছে। জরুরি বিষয়গুলো অবশ্যই শুনব। আপনারা ঢাকা কোর্টের ভিডিও দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। সেদিন ঢাকা কোর্টে ৫০ হাজারের মতো লোক ছিল।’
এস সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘যেগুলো আমরা কাগজে দেখি, বন্ধুদের কাছে শুনি—মার্কেটেও ভয়াবহ অবস্থা।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি তো চাই সব কোর্ট ভার্চুয়ালি চলুক। বাসায় বসে কোর্ট পরিচালনা করুক। কিন্তু লোকজন যে চলে আসে। এফিডেভিট করতে আসবে, এটা করতে আসবে, সেটা করতে আসবে। আমাদের আইনজীবীদেরও তো সাংঘাতিক অসুবিধা। আমি তো লইয়ার থেকেই এখানে এসেছি।’