কপালে টিপ পরার কারণে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় পুলিশ সদস্য কর্তৃক হয়রানির শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। এ ঘটনায় দেশজুড়ে হয় সমালোচনা, প্রতিবাদ জানান সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
প্রতিবাদে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের নারী কর্মকর্তারাও। মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) টিপ পরে সংহতি প্রকাশ করেছেন তারা।
দূতাবাস জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের হয়রানি অগ্রহণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সদস্যরা বাংলাদেশের মানুষের বৈচিত্র্যময় উদযাপনপূর্বক সকল ব্যক্তির প্রতি সম্মানের আহ্বান জানিয়ে ওই শিক্ষিকা ও হয়রানির শিকার সবার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কপালে টিপ পরেছেন।
গত শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, ‘হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।
ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই ওই পুলিশ সদস্য বাইক চালিয়ে চলে যান বলে অভিযোগে করেন ড. লতা সমদ্দার। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সেই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়। নাজমুল তারেক নামে সেই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারিনীর সাথে বাক বিতণ্ডায় লিপ্ত হওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করায় তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউআর/