বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভবিষ্যতের সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামী সোমবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ওই দেশের সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্থনি ব্লিনকেনের বৈঠক হবে। এছাড়া সন্ধ্যায় কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস বড় আকারের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সেখানে এন্থনি ব্লিনকেনসহ অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আগামী বছরগুলোতে সম্পর্ক কোথায় নিয়ে যেতে চাই সেটি নিয়ে দুই মন্ত্রী আলোচনা করবেন। এটি ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা প্রণয়নে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
বর্তমান সমস্যা নিয়ে কিছু আলোচনা হতেই পারে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এটিতে মূলত ভবিষ্যৎ নিয়েই আলোচনা হবে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) ওয়াশিংটন সময় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) দুই মন্ত্রীর মধ্যে সোফাসেট ফরম্যাটে বৈঠক হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পাশে প্রতিনিধিদলের বৈঠক থেকে সোফাসেট ফরম্যাট কিছুটা ভিন্ন। এখানে দুই পক্ষ পাশাপাশি বসে অন্তরঙ্গভাবে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে—আগামীকালের বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ঢাকা সফরের পরে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে দুই মন্ত্রীর মধ্যে ওয়াশিংটনে সশরীরে সাক্ষাৎ হচ্ছে।
সফর
২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময়ে শেষবারের মতো কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফর করেছিলেন। এরপর কোনও পক্ষেই উচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক সফর হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জোরালোভাবে বলা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের সফর হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং আমাদের পক্ষ থেকে এটি বলা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা ভাইস-প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফর—এর যেকোনও একটি সরকারের কাম্য বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সফর দুই দেশের সম্পর্ক এক ধাপে অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউআর/