দুই জায়ান্টের লড়াইয়ে পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা। দুই দলের একজন করে লাল কার্ড দেখলেন। আবাহনী লিমিটেড আগে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু বিরতির পর উত্তেজনা বেড়ে যায় আরও। বসুন্ধরা কিংস সমতা এনে এগিয়ে যায় আবারও। গোল শোধ দিয়ে আবাহনীকে তাই ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে দুই জায়ান্টের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে।
রবিবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে চার বিদেশি নিয়ে মাঠে নেমেছিল আবাহনী। ম্যাচের প্রথমার্ধে ভালোই দাপট দেখিয়েছে। আক্রমণে এগিয়ে থেকে গোলও পেতে সময় লাগেনি। তবে মাঝে সঙ্গী ছিল হতাশাও। ম্যাচ ঘড়ির ৪ মিনিটে কলিনদ্রেসের ক্রসে দোরিয়েল্তনের দুর্বল হেড গোলকিপার তালুবন্দী করেছেন। ৭ মিনিট পর রবিনিয়োর বুলেট গতির শট ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে চলে গেছে।
১৫ মিনিটে বসুন্ধরা বেঁচেও যায়। রাফায়েল অগাস্তোর ক্রসে দোরিয়েল্তনের হেড গোলকিপার জিকো কোনওমতে প্রতিহত করেছেন। ফিরতি বলে রাকিব-মিলাদ শেখরা চেষ্টা করলেও লক্ষ্যভেদ হয়নি।
তবে ২০ মিনিটে আবাহনীকে আর আটকে রাখা যায়নি। মনির আলমের ক্রসে খালেদ শাফিই ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, বলে চলে আসে অন্য প্রান্তে কলিনদ্রেসের কাছে। কোস্টারিকার ৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপাতে ভুল করেননি।
২৭ মিনিট বসুন্ধরার জন্য আরও দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। ১০ জনের দলে পরিণত হয় অস্কার ব্রুজনের দল। বলের দখল নিতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে ইমন মাহমুদকে কনুই দিয়ে আঘাত করে বসেন সোহেল রানা। রেফারি আনিসুর রহমান সাগর সরাসরি লাল কার্ড দেখান সোহেলকে। আর ইমন দেখেন হলুদ কার্ড। তাতে ১০ জনের বসুন্ধরাকে চাপে রাখে আবাহনী। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
ইনজুরি সময়ে আবাহনীও ১০ জনের দলে পরিণত হয়। রিমন হোসেনকে বাধা দেওয়ার কারণে লাল কার্ড দেখেন রাকিব হোসেন।
যার ফলে বিরতির পর বসুন্ধরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। এলিটা কিংসলে ও এস্তোয়ান ভ্রানিয়েস বদলি নেমে দলের আক্রমণে ধার বাড়ান। তাতে ৬৩ মিনিটে স্কোরলাইন হয় ১-১। রবিনিয়োর কাট ব্যাক থেকে কিংসলের বাঁ পায়ের জোরালো শট এক ফুটবলারের শরীরে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
৬ মিনিট পর মাশুক মিয়া জনির পাসে বক্সের বাইরে থেকে রবিনিয়ো ডান পায়ের বুদ্ধিদ্বীপ্ত শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করলে স্কোর লাইন ২-১ হয় বসুন্ধলার। গোল করেই নিয়ম ভুলে বসেন তিনি। জার্সি খুলে উল্লাস করার কারণে হলুদ কার্ডও দেখেন এই ব্রাজিলিয়ান।পরে নাবীব নেওয়াজ জীবন ও জুয়েল রানা বদলি হিসেবে মাঠে নামলে আবাহনীও বাড়তি রসদ পায়।
ফলশ্রুতিতে ৮৪ মিনিটে আবাহনীও ম্যাচে ফিরে আসে। নাবীব নেওয়াজ জীবনের আড়াআড়ি পাসে জুয়েল রানার গোলমুখে ফেলা বলে দোরিয়েল্তন টোকায় স্কোর ২-২ করেন। তাতে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
বসুন্ধরা ১০ ম্যাচে দ্বিতীয় ড্রতে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষেই। সমান ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড চতুর্থ ড্রতে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।
ইউআর/