বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর নেতারা।
শুক্রবার (৩০এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সজিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বর্গের চেয়ারম্যান মো জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ড.মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল। প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি।
প্রধান অতিথি সাধন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,অপরাধী যতোই প্রভাবশালী হোক আইনের আওতায় আনতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার হত্যাকারী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সায়েম সোবহান আনভীরদের মতো অপরাধীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে গিয়ে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করছে। মুনিয়ার মতো হাজারো মেয়েদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এরা ধ্বংস করে দিচ্ছে। আনভীররা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় অভিশাপ। তানভীরের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
পরিবারের দাবি, মোসারাত জাহান মুনিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন কলেজ পড়ুয়া নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আনভীর যে অপরাধ করেছে তা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
প্রধান বক্তা সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি বলেন, মুনিয়ার পরিবার থানায় মামলা করার পরেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেনি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অবিলম্বে মুনিয়ার হত্যাকারী আনভীরের গ্রেফতার দাবি করছি। আসামি আনভীর জেলের বাহিরে অবস্থান করার কারণে বাদিকে প্রতিনিয়ত হুমকির শিকার হতে হচ্ছে যা ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মাদ রাজিশ ইমরান, মেজবাহ উদ্দিন আজাদ, জয়নুদ্দিন জয়, এস এম ইশতিয়াক আহমেদ রুমি, সিরাজদৌল্লা দৌলত, আমিনুল ইসলাম আজাদ,খাজা মাঈনুদ্দিন রিগ্যান, সাইফুল্লাহ মাহমুদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্র লীগের সহ সম্পাদক ইমরান খান,বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জাবেদ পাটোয়ারী, হাফিজুর রহমান, মো সাদি, মো বেলাল উদ্দিন, আবদুল আহাদ রিপন, সগির আহমেদ, আজগর আলী, জামাল আহমেদ সোহেল, মো মিজানুর রহমান।