পাকিস্তানের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব।
শুক্রবার প্রস্তাবটি উত্থাপিত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন তা স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে সোমবার সেই প্রস্তাব উত্থাপিত হলো।
৩১ মার্চ এ বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে।
সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট উত্থাপিত হওয়া মানে তার বিদায়ের প্রথম ঘণ্টা বেজে গেছে।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশা ও বিভিন্ন কারণে ইমরান খানকে দায়ী করে আসছে বিরোধী দলগুলো। ফলে তারা তাকে আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না।
ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ সোমবার দেশটির সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেন ও এর অনুমতি দানের জন্য ডেপুটি স্পিকার কাশিম খানকে অনুরোধ করেন।
পাকিস্তানের সংসদের নিয়ম অনুযায়ী এরকম প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার জন্য অন্তত ২০ ভাগ সংসদ সদস্যের অনুমতি প্রয়োজন। ফলে অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার জন্য ৬৮ জন সদদ্যের সম্মতি প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে এর চেয়ে অনেক বেশি সদস্য সায় দেন। সব মিলিয়ে এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ১৬১ জন।
এরপর প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার ঘোষণা দেন স্পিকার।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে শাহবাজ শরীফ বলেন, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের সংবিধানের আর্টিকেল ৯৫ এর ১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এই সংসদ ঘোষণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিয়াজির ওপর সংসদের কোনো আস্থা নেই। ফলে ৪ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে অফিস ত্যাগ (প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ) করতে হবে।
এদিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক সংসদ সদস্যের মৃত্যু হওয়ায় ওইদিন তা উত্থাপিত হয়নি।
ইউআর/