রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে। বুধবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত ‘একবিংশ শতাব্দীতে মানবাধিকার: কথার কথা নাকি বাস্তবতা’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানবাধিকার রক্ষা করা এবং উৎসাহিত করা। রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, সেটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে দেখিয়েছে, আমরা মানবাধিকারকে সম্মান করি।’
একবিংশ শতাব্দীতে মানবাধিকার কী কথার কথা নাকি বাস্তবতা সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্য বৃহৎ লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানবাধিকারকে সম্মান জানাতে হবে।’ আন্তর্জাতিক শান্তি এবং ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য মানবাধিকার অত্যন্ত জরুরি বলেও তিনি জানান।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বিসের চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়ে যা বলা হয় এবং যেটি মেনে চলা হয়, সেটার মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। এটি রূঢ় বাস্তবতা।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেন, ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
কোভিরের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মহামারির কারণে ডিজিটাল যে পার্থক্য সেটি আরও ব্যাপক হচ্ছে।’
নাসিমা বেগম বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, সবার এবং এ জন্য মানবাধিকার সম্পর্কে সবাইকে জানতে হবে।’
ইউআর/