সেবা সংস্থাসমূহের উন্নয়ন কাজসমূহ রাত্রে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সেবা সংস্থাসমূহের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
এসময় তিনি বলেন চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন সংস্থার অধীনে বর্তমানে হাজারো কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। বিশেষ করে যানজট এড়িয়ে দ্রুত সময়ে বিমানবন্দর পৌঁছার লক্ষ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিশাল উন্নয়ন কর্মকান্ড শহরের মূল সড়কে চলমান রয়েছে। নির্মাণ কাজের জন্য সড়কটির বিভিন্ন অংশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া মূল সড়কটির অনেক জায়গা খানা খন্দে পরিপূর্ণ। ফলত দেওয়ানহাট হতে বিমানবন্দরগামী সড়কটিতে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। উন্নয়ন কাজ চলমান থাকবে তার পাশাপাশি যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকারী প্রতিষ্টান ম্যাক্স কর্তৃপক্ষ তাদের গাফিলতির উদাহরণ সৃষ্টি করছে প্রতিদিন। তিনি দেওয়ানহাট হতে বিমানবন্দরগামী সড়কটিতে যাত্রী সাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ রাখেন। বৃহৎ আকারের উন্নয়ন প্রকেল্পের পাশাপাশি নগরীতে বিভিন্ন সেবা সংস্থা তাদের নিজস্ব সংস্থার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রাস্তার উপর ঘেরা বেড়া দিয়ে উন্নয়ন কাজগুলো চলতে দেখা যায়। যার ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চট্টগ্রাম শহরটি যানজটে নিমজ্জ্বিত থাকছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। এর ফলে একদিকে বিপুল পরিমাণ কর্মঘন্টা অপচয় হচ্ছে নগরবাসীর, অন্যদিকে অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সেবা সংস্থার উন্নয়ন কাজসমূহ রাত্রে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান সুজন।
এছাড়া গতকাল রাত্রে আকস্মিকভাবে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুজন। তিনি বলেন নির্মাণের মাত্র চার বছরের মাথায় র্যাম্পের পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় নগরবাসী আতংকে রয়েছে। এর ফলে বহদ্দারহাট সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন এবং যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এর আগেও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্টানকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনার তাগিদ দেন তিনি।
তিনি জনগনের দুর্ভোগ লাঘবে সহসা র্যাম্পের পিলারের ফাটলটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংলগ্ন অক্সিজেন কুয়াইশ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যান ও জনগনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সড়কটি সংস্কারে এর আগেও সিডিএকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করলেও সড়কটি এখনো আগের অবস্থানে রয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করার ফলে ঐ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে। প্রায়শই ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
এছাড়া ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। তাই উক্ত সড়কটিও দ্রুত সংস্কারের তালিকায় এনে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন সুজন। তিনি উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি জনভোগান্তি দূরীকরণে সেবা সংস্থাসমূহকে আরো তৎপর হওয়ারও আহবান জানান।