চট্টগ্রামে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সমিতিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে এ অপহরণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় পর্যায়ের ইউপি নির্বাচনের আপিল শুনানিতে অংশ নিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুই সহযোগীকে নিয়ে আসছিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাছির উদ্দীন চৌধুরী। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এলে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।

এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা আপিল মামলার শুনানি করতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, ফটিকছড়ির সমিতিরহাট ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাছির উদ্দীন চৌধুরী ও তার দুই সহযোগীকে অপহরণের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাছির উদ্দীনকে টেনে হেঁচড়ে তার জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়।

নাছির চৌধুরী জানান, তার দুই সহযোগীর একজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বাধা দেন। পরে তাকে টানা হেঁচড়া শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান। এক পর্যায়ে তাকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা।

এ বিষয়ে আপিল শুনানিকালে নাছির চৌধুরী তার ওপর হামলার ঘটনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে জানান।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এ রকম ঘটনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন।’

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাছির উদ্দীন চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকে নানাভাবে হামলার শিকার হচ্ছেন-এমন অভিযোগ করে জানান, নির্বাচন অফিসে প্রবেশের সময় তাকে (চেয়ারম্যান) অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। তার জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। হামলায় তিনি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পুলিশ থাকায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন। আসামিরা চিহ্নিত। তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতেই মূলত এ অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

সমিতিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা পাঁচজন নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছি। তাদের মধ্যে দুজন আমার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী, একজন আইনজীবী ও অপরজন আমার বন্ধু ছিলেন। যখন শুনানির মধ্যে নাছির চৌধুরী অভিযোগ উত্থাপন করলেন তখন আমি শুনে হতবাক হয়ে গেছি।

পুলিশ ধাওয়া দিয়ে কাইফ হোসেন নামের যে যুবককে আটক করেছে সে ওনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। তখন আমার গাড়ির চালক পুলিশকে সহযোগিতা করে আসামি ধরে দিয়েছেন।

এ সময় পুলিশের ওয়াকিটকি মাটিতে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা জড়িত না, আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে। কারও মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

নির্বাচন কমিশনের পূর্ব ঘোষণা অনুয়ায়ী আগামী ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ডু ও ফটিকছড়ির ৩৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img