নাইজেরিয়ার সোকোটো রাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার এ খবর জানায় দেশটির গভর্নরের কার্যালয়।
সোকোটোর গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি তাম্বুওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, রোববার গোরোনিওর একটি সাপ্তাহিক বাজারে হামলা শুরু হয় এবং যা সোমবার সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে বন্দুকধারীরা গত এক বছরে নিরাপত্তা সংকটে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং মুক্তিপণের জন্য আরও শত শত মানুষকে অপহরণ করেছে। যা সেই দেশের সরকার যোগাযোগ বন্ধের মাধ্যমে সামলানোর চেষ্টা করছে। সামরিক অভিযান চালাচ্ছে এবং পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু আব্বা রয়টার্সকে বলেন, গোরোনিও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ৬০টি মৃতদেহ রয়েছে এবং অন্যরা পালানোর সময় আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “ক্রেতাদের এবং ব্যবসায়ীদের ভিড় থাকায় বন্দুকধারীরা বাজারে প্রবেশ করে। আমাদের উপর বিক্ষিপ্তভাবে গুলি চালাচ্ছিল, তারা চারিদিক দিয়ে মার্কেট ঘিরে রেখেছিল এবং প্রতিটি দিক থেকে লোকজনকে উপড় গুলি করে।”
আব্বা বলেন, “বন্দুকধারীরা অন্তত প্রাথমিকভাবে পুলিশকে পরাস্ত করেছিল যারা বাধা দেবার চেষ্টা করেছিল।”
একজন পুলিশ মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেননি।
সরকার সেপ্টেম্বরের শুরুতে পুরো জামফারা রাজ্যে সমস্ত টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়, সামরিক অভিযান তীব্র হওয়ার পর কাটসিনা, সোকোটো এবং কাদুনা রাজ্যের কিছু অংশে ব্ল্যাকআউট ছড়িয়ে পড়ে।
নাইজেরিয়ার শীর্ষ জেনারেল গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে টেলিকম পরিসিমা বন্ধ বজায় থাকবে। কারণ এটি সশস্ত্র বাহিনীকে দস্যুদের বিরুদ্ধে দমন করতে সহায়তা করছে। কিন্তু বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কি ঘটছে তা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা ব্যাহত হয়েছে।
সূত্র : রয়র্টাস