সমন্বিত অফিস ভবন নির্মিত হলে একই ছাতার নিচে মিলবে সকল সরকারি সেবা: ডিসি

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, নগরীর চান্দগাঁও হামিদচর এলাকার কর্ণফুলী নদী ঘেঁষা মেরিন ড্রাইভ রোডে ৭৬ একর জায়গার উপর সমন্বিত সরকারী অফিস ভবনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হতে প্রায় চার বছর সময় লাগতে পারে।

ভবিষ্যতে সরকারী প্রয়োজনে আরও ৩৬ একর জায়গা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। সবমিলে ১১০ একর জায়গা। চলতি মাসের শেষের দিকে নির্মিতব্য সমন্বিত মাল্টিষ্টোরেড বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদনের জন্য সরকারের মন্ত্রী পরিষদে যাবে।

সমন্বিত সরকারী অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে পরীর পাহাড় থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ অন্যান্য সকল সরকারী অফিস সেখানে স্থানান্তর হবে। একই ছাতার নিচে মিলবে সকল সরকারী সেবা। এক জায়গায় সকল সরকারী অফিস থাকলে একদিকে জণগণের ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে সময়ও বাঁচবে।

এছাড়া চট্টগ্রামের ৩৩টি সরকারী অফিস আছে যেগুলো জরাজীর্ণ সেগুলোকে একই বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। অফিসগুলো হবে পরিবেশসম্মত ও সেবা উপযোগী।

আজ ১৭ অক্টোবর, রোববার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরীর পাহাড়কে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করেছে সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রততত্ত্ব অধিদপ্তর। সে কারণে চান্দগাঁওস্থ কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ রোডে সমন্বিত সরকারী অফিস ভবনর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছেন সরকার।

মমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে যে সকল উন্নয়ন কাজ চলমান সেগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে। যে সব সরকারী সম্পত্তি বেখল হয়েছে সেগুলো তালিকা করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। জেলা পরিষদ থেকে যে প্রকল্পগুলো উপজেলা পরিষদে যাচ্ছে সেগুলো সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

ডিসি বলেন, চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ শূন্য দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা সকলে সচেতন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অচিরেই করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পাবো এবং সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, জেলা সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মাসুম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), মোঃ নুরুল আলম (বোয়ালখালী), তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা), জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল (লোহাগাড়া), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), এস.এম রাশেদুল আলম চৌধুরী (হাটহাজারী), চৌধুরী মোঃ গালিব (বাঁশখালী), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার (বোয়ালখালী), শাহিনা সুলতানা (কর্ণফুলী), সাদিয়া ইসলাম (চন্দনাইশ), মিনহাজুর রহমান (মিরসরাই), মোঃ শাহাদাত হোসেন (সীতাকুন্ড), শাহিদুল আলম (হাটহাজারী), মহিনুল হাসান (ফটিকছড়ি), ইফতেখার ইউনুস (রাঙ্গুনিয়া), সাইদুজ্জামান (বাঁশখালী), শেখ জোবায়ের আহমদ (আনোয়ারা), জোনায়েদ কবির সোহাগ (রাউজান), ফয়সাল আহমেদ (পটিয়া), জোবায়ের হোসেন (আনোয়ারা), আহসান হাবিব জিতু (লোহাগাড়া), সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, বোয়ালখালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম, চন্দনাইশ পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞা প্রমূখ।

সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img