কলকাতাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই

আইপিএলের ১৪তম আসরের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২৭ রানে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। দক্ষিণ আফ্রিকান ডু প্লেসির অসাধারণ ব্যাটিং এবং রবিন উথাপ্পা ও মইন আলীর টর্নেডো ইনিংসে রান পাহাড়ের নীচে চাপা পড়ে নাইটরা। পরে বাকি কাজটা সারেন চেন্নাই বোলাররা। তাতে তৃতীয় শিরোপা জয় থেকে বঞ্চিত হয় কলকাতা।

শুক্রবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করে। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিবদের কলকাতা। ২৭ রানের জয়ে আইপিএলের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলে চেন্নাই। এর আগে ২০১০, ২০১১ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সিএসকে।

জয়ের জন্য ১৯৩ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দুই তরুণ ওপেনার শুভমান গিল এবং ভেঙ্কটেশ আয়ার যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে জয়টা দেখতেই পাচ্ছিল কলকাতা। ১০.৪ ওভারে এই দু’জনের ব্যাটে ওঠে ৯১ রান। তবে ফিফটি করা আইয়ার ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরই ব্যাটিং ধস নামে কলকাতা শিবিরে। আইয়ার ৩২ বলে ৫০ রান করেন।

দলের আরেক ওপেনার শুভমন গিল থামেন ৫১ রানে। এরপর দলের অন্য ব্যাটাররা নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারান। নিতিশ রানা কোনো রানই করতে পারেননি। সুনিল নারিন করেন ২ রান, ইয়ন মরগান আউট হন ৮ বলে ৪ রান করে। দিনেশ কার্তিক ৭ বলে করেন ৯ রান। আর সাকিব আল হাসান মারলেন গোল্ডেন ডাক।

শেষদিকে লোকি ফার্গুসন (১৮) ও শিভাম মাভির (২০) কল্যাণে কেবল হারের ব্যবধানই কমায় কলকাতা।

২০১২ সালে নাইটদের কাছে ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল জিতে নেয় শিরোপা। বল হাতে চেন্নাইর শার্দুল ঠাকুর ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। রবীন্দ্র জাদেজা ও জশ হ্যাজলউড নেন ২টি করে উইকেট। ডোয়াইন ব্রাভো ও দীপক চাহার পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে চেন্নাই। শেষ ১০ ওভারে রীতিমতো ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেন ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলী। ৫৯ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন ফাফ ডু প্লেসি।

উথাপ্পা ২০৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান। এছাড়া ২০ বলে ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রান করেন ইংলিশ তারকা মঈন আলী। আর ২৭ বলে ৩২ রান করেন ঋতুরাজ গায়কওয়াদ।

কলকাতার হয়ে সুনীল নারিন দুই উইকেট নেন। তবে সাকিব ৩ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি। আর ব্যাটিং করতে নেমেও শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি।

ফাইনালে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েঠেন ফাপ ডু প্লেসিস। সিরিজ সেরা হন হার্শাল প্যাটেল।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img