প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে। এদিন সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। এরপর বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে প্রতিমা বিসর্জন।
করোনার কারণে এবছরও বিজয়ার শোভাযাত্রা হবে না। তাই পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ থাকায় নামাজের সময় দুপুরে বিসর্জন অনুষ্ঠান করা হবে না। বিকাল ৪টা থেকে শুরু হবে প্রতিমা বিসর্জন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করেছেন মহানবমী পূজা।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ এবং র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে সোমবার (১১ অক্টোবর) থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুরু হয় দুর্গাপূজা। এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজা হচ্ছে ২৩৮টি। যা গতবারের চেয়ে চারটি বেশি।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।