আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৯৯০ সালের পটভূমি আর ২০২১ সালের পটভূমি এক নয়। সুতরাং, গণঅভ্যুত্থান করে সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন বিএনপির রঙিন খোয়াবে পরিণত হবে।
সেতুমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।
‘সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না’-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার উনি কে?’ সরকারকে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশের সংবিধান এবং এ দেশের জনগণ। আর ক্ষমতা দেওয়ার মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং দেশের ভোটাররা।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণত সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন সংগঠন সভার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু বিএনপি প্রেসক্লাবকে রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছে। বিএনপি এখন প্রেসক্লাবের ভেতরে রাজনৈতিক সমাবেশ করছে, যা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় প্রার্থীর নাম পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং নানা অনিয়ম ও জালিয়াতি করে কেন্দ্রে নাম পাঠানো হচ্ছে। যারা এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রায় দুই বছর যারা অপেক্ষা করেছেন, তাদের ভোগান্তি শেষ হতে যাচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রিন্টিং ও বিতরণ কার্যক্রম গত ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে।’
মন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী ছয়মাসের মধ্যে এসব ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রিন্টিং ও বিতরণ কাজ শেষ হবে।’
গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
একইসঙ্গে গত ১০ অক্টোবর থেকে দুই লেনবিশিষ্ট ভেহিক্যাল ইনস্পেকশন সেন্টারের (ভিআইসি) একটি লেন থেকে গ্রাহকদের সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে এবং অন্য একটি লেনের মেরামত কাজ চলেছে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী। মন্ত্রী জানান, মেরামত কাজ শেষ হলে দুটি লেন থেকেই গ্রাহকদের সার্ভিস দেওয়া হবে।