যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের করোনাটিকার সনদ। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
যুক্তরাজ্যের পরিবহন বিভাগের বরাতে হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশকে দেশটির অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকার তালিকা ও সনদ স্বীকৃতিতে যুক্ত করা হয়েছে। স্বীকৃতির এ সিদ্ধান্ত আগামী সোমবার (১১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশন এখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত। আমাদের মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছে। এখন তারা আমাদের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেশনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট বাধা দূর করার জন্য হাইকমিশনের স্থায়ী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল।’
হাইকমিশনার জানান, যুক্তরাজ্য-অনুমোদিত টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়াদের সোমবার ভোর ৪টা থেকে আর ১০ দিনের হোটেল বা হোম কোয়ারেন্টিন অথবা কোভিড-১৯ প্রি-প্রস্থান পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। তবে ব্রিটেনে প্রবেশের দ্বিতীয় দিন বা তার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
তিনি আরও জানান, প্রত্যেক ভ্রমণকারীদের টিকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে। তবে ব্রিটেনের অনুমোদিত টিকার পূর্ণ ডোজ সম্পন্ন না করা ভ্রমণকারীদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাদের কোয়ারেন্টিন চলা অবস্থায় দ্বিতীয় ও অষ্টম দিন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।