রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু এনজিও ও কুচক্রি মহল ব্যবসা করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু এনজিও ও কুচক্রি মহল ব্যবসা করছে। তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার যেতে বাঁধা দিচ্ছে। রোহিঙ্গা রাখাইনে চলে গেলে ওই সব কুচক্রি মহলের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারতের প্রদানকৃত ২টি অ্যাম্বুল্যান্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট ওসমানী মেডিকের কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার ভিকরাম কে দরশওয়ামী সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতীয় হাই কমিশনার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য এর নিকট এম্বুলেন্স ২টির চাবি হস্তান্তর করেন।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো। ১৯৭৮ সালে ২ লক্ষ রোহিঙ্গা এসেছিল, মিয়ানমার পরে তাদেরকে নিয়ে গেছে। ১৯৯২ সালে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা আসছিল। এর মধ্যে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইনে ফেরত গেছে। মন্ত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ চাইছিলেন সবাইকে রাখাইনে নিয়ে যেতে। কিন্তু তাকেও ওই ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করে ফেলেছে।

সিলেট বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়কটির চার লেনের কাজ ১২ বছর এর কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ‘রিজাইন’ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ব্যর্থতার জন্য সওজ কর্মকর্তাদের লজ্জা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ব্যর্থতার জন্য আমাদের জন্য দু:খের, যারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন তাদের জন্যও দু:খের। আর যারা এই কাজের দায়িত্বে (সওজ কর্মকর্তারা) ছিলেন তাদের জন্য লজ্জার। ১২ বছরে একটি রাস্তা করতে না পারার জন্য তাদের মাথা ‘হ্যাট’ হওয়া উচিত। লজ্জায় তাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img