আইএসের আস্তানায় তালেবানের হামলা

আফগানিস্তানে আইএসের আস্তানায় হামলা চালিয়ে জঙ্গি সদস্যদের হত্যার দাবি করেছে দেশটির নিয়ন্ত্রণকারী তালেবান গোষ্ঠী। 

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে জানান, রাজধানীতে কাবুলের উত্তরে রোববার( ৩ অক্টোবর) জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে তালেবান সদস্যরা।  এ সময় ওই আস্তানাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, রোববার কাবুলের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় আইএসের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালিয়েছে তালেবানের একটি বিশেষ ইউনিট।  অভিযানে জঙ্গিদের ঘাঁটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  সেখানে থাকা সব জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। 
 
এর আগে রোববার সকালে কাবুলের ঈদগাহ মসজিদে তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদের মায়ের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান চলাকালে মসজিদের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।  

এতে অন্তত পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।  আহত হয় কমপক্ষে আরও চার জন।  এই হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট খোরাসান গ্রুপ। 
 
আইএস খোরাসান গ্রুপ তালেবানকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।  ইতোপূর্বে তারা তালেবানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হামলার দায় স্বীকার করেছে। 
এর আগে আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান জানিয়েছিল, দেশটির উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসান( আইএসকে) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য  এবং প্রধান নেতা আবু ওমর খোরাসানি নিহত হয়েছে।  আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শনিবার( ২৪ সেপ্টেম্বর) তালেবান কর্মকর্তারা জানান, আবু ওমর খোরাসানি আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে। 
 
তবে খোরাসানি কবে, কোথায় ও কীভাবে নিহত হয়েছেন সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি তালেবান।  এদিকে পাকিস্তানের সামা টিভি এবং ডেইলি পাকিস্তান জানায়, ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। 
 
তার এক দিন পর ১৬ আগস্ট আইএস খোরাসানের প্রধান আবু ওমর খোরাসানির শিরশ্ছেদ করে তারা।  মৌলভি জিয়াউল হক নামে পরিচিতি খোরাসানিকে আফগান সরকারের কারাগার থেকে নিয়ে হত্যা করে তালেবান যোদ্ধারা। 
১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে তালেবান।  তারপর থেকে রাজধানী কাবুল ও নানগারহারে আইএসের সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গিয়েছে।  বিশেষ করে নানগারহার প্রদেশে গত কয়েকদিনে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে  আইএস। 
 
এসব হামলায় অন্তত ২০ তালেবান সদস্যসহ অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।  তালেবান দাবি করেছে, আফগানিস্তানের জন্য আইএস এখন মারাত্মক কোনো হুমকি নয় বরং এই গোষ্ঠীকে শিগগিরই নির্মূল করা হবে। 
- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img