পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির পর এবার প্যানডোরা পেপারস। ফাঁস হওয়ার নতুন আর্থিক নথিতে এই নামেই বলা হচ্ছে। আর এই ফাঁস হওয়া নথিতে বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে অন্তত ৩৫ রাষ্ট্রনেতা এবং বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার বিশাল অঙ্কের গোপন লেনদেন এবং সম্পত্তির তথ্য ফাঁস করা হয়েছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) বিবিসিসহ কয়েকটির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য প্রকাশ করে প্যানডোরা পেপারসাকে বলা হচ্ছে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি।
সাত বছর বাদে ফের প্রকাশিত গোপন নথিতে ফাঁস করা হলো বিশ্বের অন্তত ৩৫টি দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, একশ’রও বেশি ধনকুবেরসহ তিন শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার গোপন আর্থিক লেনদেনের তথ্য।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, সাত শতাধিক পাকিস্তানির প্যানডোরা পেপারসে নাম এসেছে। অবৈধ লেনদেনের তথ্য ফাঁস করা ওই নথিতে নাম এসেছে তার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, সিনেটর, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, মিডিয়া হাউজের মালিক ও ব্যবসায়ীদের।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ডন জানায়, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন, পানিসম্পদমন্ত্রী মুনিস এলাহি, সিনেটর ফয়সাল ভাওদা, মুসলিম লিগ (এন) নেতা ইশহাক দারের ছেলে আলি দার, পিপিপি নেতা শারজিল মেমন, শিল্পমন্ত্রী খুসরো বখতিয়ারের পরিবার, পিটিআই নেতা আব্দুল আলিম খান, এমনকি বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নাম এই তালিকায় আছে।
যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ। আর এতেই বিপাকে পরেছেন ইমরান। এদিকে প্যানডোরা পেপারসে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার নাম আসার জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দল মুসলিম লিগ (নওয়াজ)।
অন্যদিকে বেআইনি অর্থপাচারের তথ্য সামনে আনায় প্যানডোরা পেপারসের তদন্তকারীদের ধন্যবাদও জানিয়ে ইমরান খান বলেছেন, প্যানডোরা পেপারসে নাম আসা সব পাকিস্তানি নাগরিকের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। কোনো অন্যায় হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।