এবার ঘরের মেয়েকেই বেছে নিলো ভবানীপুর। নিজের আসনে রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে মমতা ব্যানার্জিই মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতার ভবানীপুর, শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। আজ রোববার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ভোটগণনা শুরু হয়। মোট ২১ রাউন্ড ভোট গণনা শেষে মমতা ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয় পান। মমতা ৮২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি ভোট।
এবারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে মমতা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা। নন্দীগ্রামে হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক বিধি হলো, ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে।
ভারতের আইন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে উপনির্বাচনে জিততেই হবে তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই দলনেতা মমতাকে ভবানীপুর থেকে জেতানোর লক্ষ্যে সেখানের নির্বাচিত তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। ফলে ভবানীপুর আসনটি শূন্য হ সেই আসনের উপনির্বাচনে লড়েন মমতা।
উল্লেখ্য, এই আসনে ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।