অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আজ এ আদেশ দেন।
এ তদন্তকালীন সময়ে কোনো অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সেগুলো বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঋণদানকারী স্থানীয় সুদকারবারীদের তালিকা দিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এছাড়াও লাইসেন্স এবং অনুমোদন ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণদানকারী বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিতে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা রুলে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
রিটে অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ ১৩৬ ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য রাখেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চড়া সুদে ঋণের জালে কৃষকরা’ শিরোনামে গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিটে মহাজনদের উচ্চহারে অনানুষ্ঠানিক ঋণ প্রদান নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়।