চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ এলাকায় প্রস্তাবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহু দিনের আকাঙ্খিত চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
এসময় সেখানে মুখ্য সচিবকে মহান মুক্তিযুদ্ধের বই ও ফুল দিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড, জেলা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর, জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান এনডিসি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন মিজান, আকবর শাহ থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সলিম উল্লাহ, ডেপুটি কমান্ডার মোঃ নূর উদ্দিন, বিশিষ্ট কবিও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসহাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আকতার উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আক্তার মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরান, মিজানুর রহমান সজীব, হাসান মোঃ আবু হান্নান প্রমূখ।
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরের স্থান পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উত্তর কাট্টলীতে ২৯ একর জায়গার উপর নির্মাণ হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রকল্পের নকশা পাঠানো হবে। মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের বিরত্বগাঁথা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রচেষ্টা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীই এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, এখন আমরা জায়গা সরেজমিনে দেখেছি। দেখে মনে হলো জায়গাটি অত্যন্ত চমৎকার, সৌন্দর্যমন্ডিত ও পছন্দের। মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের অবদান অন্যতম। এখানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ওয়্যারলেস, ইস্টার্ন জোনের সমন্বয়কারী মরহুম আলহাজ্ব জহুর আহমদ চৌধুরী, মরহুম এম.এ আজিজের অনেক স্মৃতি, পাহাড়তলী বধ্যভূমিসহ অনেক বধ্যভূমি রয়েছে।
সে হিসেবে এ অঞ্চলের আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। ইতিহাস হয়েছে এ অঞ্চলের। নতুন প্রজন্মকে এসব জানাতে হবে। আশাকরি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণ করা গেলে এলাকাটি অরো নান্দনিক হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের কাট্টলীতে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।