টিকাদানের হার বাড়ানো ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ফলে মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্থির আভাস দিলেও এর প্রভাব এখনো রয়েছে। প্রভাব থাকলেও গত একদিনে বিশ্বজুড়ে কমেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮০ হাজার।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, রোববার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৩ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৯ জনের। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২০ কোটি ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯৭ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে চার কোটি ৩৭ লাখের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ছয় হাজার ৫৮ জনের।
করোনায় হতাহতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষের। এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৮ জনের।
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৬ জনের।
তালিকায় ২৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৯৩ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ১২ হাজার ৮১১ জন। এদের মধ্যে ১৬৪১ জনের অবস্থা গুরুতর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাদান কার্যক্রম চলছে জোরকদমে। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এমনকি বেশিরভাগ দেশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তুলে নেয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।